স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কৈশোরে গর্ভধারণ, মাতৃ মৃত্যুর অন্যতম কারণ’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের হিসাব মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬৫০ সালে ১ কোটি ছিল। তা ১৯৫১ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২ কোটি ৩ লাখ হয়। দেশে বর্তমান জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৯৭৯ জন মানুষ। বর্তমান হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ১৯৫০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল উর্ধ্বমুখী। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করলেও তা ছিল আগের বৃদ্ধির তুলনায় একেবারেই উদ্বেগজনক।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক বলেন, বাল্যবিবাহ কিশোরীদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়। কিশোরীদের জোর করে বা প্রতারণা করে যৌনমিলনে বাধ্য করা হয়। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে বেশির ভাগ কিশোরীর মধ্যেই যৌন শিক্ষা সম্পর্কিত কোনো ধারণা নেই এবং তারা নিজের পছন্দমতো সময়ে গর্ভধারণ করতে পারে না। তারা শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভোগান্তির শিকার হন।তিনি আরো বলেন, উন্নয়নশীল দেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশারীর প্রায় ৩ মিলিয়ন অনিরাপদ গর্ভপাত ঘটিয়েছে। ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সে সন্তান জন্মদানকারী মায়ের তুলনায় ২০ বছরের কম বয়সে সন্তান জন্মদানকারী মায়েরা ৫০ শতাংশ মৃত শিশু জন্ম দেন। বর্তমানে প্রতি হাজার জীবিত শিশু জন্মের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মাতৃ মৃত্যু হার শতকরা ১ দশমিক ৯৪ ভাগ। ২০০১ সালে যা ছিল ৩ দশমিক ২ ভাগ।