শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > আজ বিকেলে বসছে সংসদের তৃতীয় অধিবেশন

আজ বিকেলে বসছে সংসদের তৃতীয় অধিবেশন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সোমবার বসছে দশম জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন। বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। যদিও অধিবেশনের মেয়াদ এখনো নির্দ্ধারিত হয়নি। তবে এ অধিবেশন বেশ সংক্ষিপ্ত হবে বলেই জানা গেছে।

শুরুর দিন বিকেল ৪টায় সংসদ ভবনে কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকেই অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে।

এরআগে গত ১১ আগস্ট সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় দেওয়া ক্ষমতাবলে এই অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, এটি অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার অধিবেশন। শুধুমাত্র কয়েকটি বিল পাশ ছাড়া এই অধিবেশনে তেমন কোনো কাজ নেই। এজন্য অধিবেশনের মেয়াদও হবে খুব সংক্ষিপ্ত। এক সপ্তাহ থেকে ১৫ কার্য দিবস পর্যন্ত চলতে পারে তৃতীয় অধিবেশন।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গত সপ্তাহে জানান, সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশন হতে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে অধিবেশন বসার একটা বাধ্যবাধকতা ‘ব্যারিয়ার’ রয়েছে। মূলত সেজন্যই এই অধিবেশন। এটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হবে। এরপর নভেম্বরে একটি অধিবেশন রয়েছে।

তবে সব কিছু নির্ভর করছে অধিবেশন বসার আগে অনুষ্ঠিত কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের উপর।

তিনি বলেন, আসছে অধিবেশনে কয়েকটি বিল রয়েছে যেগুলো পাশ করা জরুরি। এছাড়া কিছু বিল আছে কমিটিতে প্রেরণ করা হবে। এরবাইরে মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্নোত্তর থাকবে। তবে কোনো জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকলে সেটি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হবে।

এদিকে এবারের অধিবেশনে বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মন্ত্রীপরিষদে অনুমোদন পাওয়া সংবিধান সংশোধন বিলসহ প্রায় একডজন বিল উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এরমধ্যে বিতর্কিত বিল রয়েছে হাফ ডজন। বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রণীত সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী বিলসহ সংসদে জমা হওয়া অন্য বিলগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) বিল ২০১৪, ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) বিল-২০১৪, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল ২০১৪, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল ২০১৪, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১৪, দি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ অর্ডার (সংশোধনী) বিল ২০১৪, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ বিল-২০১৪, বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ বিল-২০১৪ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ গবেষণা বিল-২০১৪।

এসব বিলের মধ্যে বিচারপতিদের অভিসংশনের লক্ষ্যে আনীত সংবিধান সংশোধনী বিলটি নিয়েই উত্তপ্ত হতে পারে সংসদ ও রাজপথ।

এছাড়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল ২০১৪, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল ২০১৪ এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১৪ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এ তিনটি বিল গত ১৫ জুন নোটিশ প্রাপ্তির পর ১ জুলাই অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

ইতোমধ্যে বিলগুলো নিয়ে ফুঁসে ওঠেছে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণ। আদিবাসী ফোরামের নেতারা বিলগুলো বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপি বিহীন গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হওয়া দশম জাতীয় সংসদের এটি তৃতীয় অধিবেশন। গত ১২ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের পর ২৯ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশন অনুষ্টানের মাধ্যমে পথচলা শুরু হয় এ সংসদের।

এরপর গত ৩ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু হয়ে শেষ হয় ৩ জুলাই। এরই মধ্যে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পূর্ণ সমর্থন নিয়ে পাশ হয় ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেট।