বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরীকদের প্রার্থীতা দেয়ার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘দেশে আগে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে তারপরে দল এবং শরীকদের মধ্যে আসন ভাগা-ভাগির বিষয়টি আসবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের চলমান রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিডি২৪লাইভ ডটকমকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিডি২৪লাইভকে বলেন, সবার আগে আমাদেরকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। দল মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাধ্য করতে হবে। মানুষের ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তার পরে আসবে নির্বাচনী আসন ভাগা-ভাগির বিষয়।
নির্বাচন আসতে এখনো অনেক দেরি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গাছে কাঁঠাল আর গোফে তেল দিলে তো আর হবে না। এসব নিয়ে আগাম কথা বলা ঠিক না। এই সিদ্ধান্ত হবে সামষ্টিকভাবে। একেকজন একেকজনের মত কথা বললে সমস্যার সৃষ্টি হবে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, দেশের বর্তমান বাস্তবতাটা আগে বুঝতে হবে। বাস্তবতাকে মোকাবেলা করে দেশে অর্থবহ নির্বাচনের দিকে এগুতো হবে। তার পরে জনগণ যাকে ইচ্ছে ভোট দিবে। কিন্তু সে কাজটা না করে আগেই আসন ভাগাভাগি করলে তো হবে না। বিএনপি নির্বাচনমুখী দল কিন্তু যাতে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হারার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে। জিততে হবে মাঠে কিন্তু সেই সাথে হারার বিষয়টিও মাথায় থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার তো আর হারার জন্য নির্বাচন করবে না। তারাও ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্বাচন করবে। আর সেই নির্বাচনটা কেমন হবে? এটা আগে বুঝতে হবে।
নির্বাচনের সময় হলে নির্বাচন হবে আর তখন দলের প্রার্থী এবং শরীকরাও থাকবে। কিন্তু সেই পরিবেশটা আগে তৈরি করতে হবে। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের ছাত্রদল, যুবদলের নেতারাও এখন জোরালো ক্যান্ডিডেট। আর জোরালো ক্যান্ডিডেট মানে জোরালো গ্রুপিং বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৭- ২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাজেট নিয়ে আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই। সরকারের বাজেট দেয়ার পর থেকে দেশের মুদি দোকানদারও এ নিয়ে কথা বলছে। এটা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। বিডি২৪লাইভ