শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রস্তাবের মূলভাবনায় ঐক্য রয়েছে

আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রস্তাবের মূলভাবনায় ঐক্য রয়েছে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
বিস্তৃতি ও ব্যাখায় পার্থক্য থাকলেও নির্বাচন কমিশন কেমন হওয়া দরকার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মূলভাবনায় তেমন কোনো পার্থক্য নেই। আস্থার জায়গাতেও দুটি দল একইভাবেই আস্থা রেখেছে দেশের রাষ্ট্রপতির উপরে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বলেছে, রাষ্ট্রপতির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনার প্রতি আওয়ামী লীগের পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সুদীর্ঘ সময় রাজনীতি করেছেন। তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষ। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে তার সুবিবেচনার প্রতি আমাদের গভীর আস্থা রয়েছে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপি ১৩ দফা প্রস্তাব ও ২৭ দফা উপদফা দিয়েছে। এসব দফা ও উপদফায় বিএনপি মূলত রাষ্ট্রপতিকে বলতে চাইছে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন। বিএনপির এই চাওয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের চাওয়ার অন্তর্গত কোনো পার্থক্য নেই। আওয়ামী লীগও তাই চায়। এর প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সংলাপে অংশগ্রহণ। বিএনপি প্রস্তাব করেছে, নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি সংলাপ করুন। রাষ্ট্রপতি তাদের এই প্রস্তাবে নিবন্ধিত সকল দলের সঙ্গেই বৈঠক করছেন। আওয়ামী লীগ সংবিধানের ১১৮ বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার ও ৪ জন সদস্য নিয়োগের কথা বলেছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি শুধু এই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কমিশনারদের যোগ্যতার ও তাদের বাছাই করার প্রক্রিয়াটি বিস্তৃত করেছে। এই কমিশন গঠনে বিএনপি কিছু যোগ্যতার কথা যেভাবে বলেছে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবনায় এ ব্যাপারেও তেমন কোনো আপত্তি দেখা যায়নি।

আওয়ামী লীগ তাদের প্রস্তাবনায় বলেছে, রাষ্ট্রপতি যা উপযুক্ত বিবেচনা করবেন সে ভাবেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য সদস্য নির্বাচন করবেন। যেহেতু আগেই দুদল রাষ্ট্রপতির প্রতি আস্থা এনেছে, সেহেতু বিএনপির প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির বিবেচানায় এলেও আওয়ামী লীগ আপত্তি করবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন বা অধ্যাদেশ জারির কথা বলেছে। কিন্তু এটাও বলেছে, এখনই করতে হবে এমন তাড়াহুড়ো তাদের নেই। তার মানে এখানেও তারা নমনিয়তাই দেখিয়েছে। শুধু দুটি ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের প্রস্তাবনায় প্রধান একটি বিষয়ে ভিন্নতা দেখিয়েছে। বিএনপি বলেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করণ ও নতুন ভোটার সংযুক্ত করা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলেছে, ই-ভোটিংয়ের কথা। সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা আগামী নির্বাচনে এই একটি মাত্র বিষয়েই দুই প্রধান দলের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টির অবকাশ রয়েছে। যেমন বিএনপি মনে করে সরকারের দমন পীড়নে তাদের অনেক ভোটার তালিকায় নাম উঠাতে পারেনি। অন্যদিকে ই-ভোটিং হলে এসব বাদ পড়া ভোটার বাদ পড়ে যাবে। সুতরাং, ভোটের আগে ভোটার তালিকা নতুন করে প্রণয়নের দাবিটাই হবে প্রধান আলোচ্য দাবি। আমাদের সময়.কম