আওয়ামী’দোসর সাইফুলে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী; হয়রানির অভিযোগ 

স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গাংপার নোয়াকুট গ্রামে মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল আলম কর্তৃক হয়রানির অভিযোগের শেষ নেই পতিত, আওয়ামী দোসর, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক  সম্পাদক হিসেবে তৎকালীন সাংসদ মহিবুর রহমান মানিকের সাথে গভীর সখ্যতা,গড়ে তুলেন এবং দলীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেন। চাচা ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান সান্ডুল,আফতাবুজ্জামান এর নেতৃত্বে। প্রতিদিন রাতের আঁধারে সোনাই নদীর বালু উত্তোলন লিজ বহির্ভূত সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তাদের স্বার্থ হাসিল করেছেন ছোট ছোট শতাধিক ট্রলি ও এক্সেভেটর দিয়ে বালুর ব্যবসা করে লাখপতি হয়েছেন।এই চক্রের প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে সিলেট শহর থেকে নেতৃত্ব দেন সাইফুল আলম সরেজমিন সংবাদ অনুসন্ধানে গেলে কথিত এই সাইফুল আলমের হাত নাকি অনেক উপরে। অনেক ক্ষমতার অধিকারী তিনি তাহলে প্রশ্ন দেখা দেয় প্রশাসনের সরকারি আইনী  প্রতিষ্ঠানের আইন তাহার কাছে কিছুই নয়। আরো জানা যায় তাহার চাচা আফতাবুজ্জামানের সমন্দিক বর্তমান সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের  উপ সচিব,শামসুল ইসলামের বলে কৌশলে আত্মীয় মামার পরিচয়ে চলেন নানা বাণিজ্য ও সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে। এলাকার নেতৃত্ব দিতে মরিয়া সাইফুল অপকৌশল কুটচালেের জন্য ইতিমধ্যেই  এলাকার মানুষের কাছে নিন্দনীয় ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। (শাহ আরপিন বাজার হতে ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে যাতায়াতকারী রাস্তাটি বেহাল দৈনদশা হয়ে পড়ায় জনতার বৃহৎ স্বার্থের সড়কে ভাঙা গড়তে বালুর প্রয়োজন দেখা দিলে সংবদ্ধ চক্র বাঁধা প্রদান করে।স্হানীয় এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন আওয়ামী দোসর সাইফুল আলম ছাতক থানার ওসি মোখলেছুর রহমানকে ফোন করে বলেন পাবলিক বালু নিয়ে যাচ্ছে আইনি ব্যবস্থা নিন নইলে আমার লোক উপরে আছে তাদেরকে ব্যবস্থা নিতে বলবো) তারই আত্মীয়-স্বজন একই বংশের লোকজন আব্দুল কুদ্দুস, মখলিসুর রহমান,রফিক মিয়াকে, নানাভাবে মানহানি করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী অনেকে বলেন এরা এত ক্ষমতাশালী কি করে হয়। বিগত ঈদের সময় ছাতকের সোনাই নদীতে ব্রীজ ফেসবুকে উদ্বোধন করেন এই কথিত সাইফুল আলম, প্রশ্ন  দেখা দেয় একটি সরকারি ব্রীজের এখনো কাজ শেষ হয়নি সে কিভাবে ফেসবুকে উদ্বোধন করে এটা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ নয়। বিগত আওয়ামীলীগ  সরকারের পতনের সময় দেশে ৫ আগস্টের পর কোন রাজনৈতিক দলীয় সরকার ক্ষমতার মসনদে ক্ষমতাসীন নয় তারপর ও কোন ক্ষমতার জোরে এসব করে যাচ্ছেন পতিত আওয়ামী দোসর  সাইফুল আলম।মিষ্টি বিতরণ করে “হাবিব” নামীয় ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে ব্রীজ উদ্বোধন করেন সাথে ছিলেন আরেক আওয়ামী দোসর আব্দুল জব্বার খোকন বর্তমানে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা জেল হাজতে রয়েছেন। বাস্তবতার পর্যবেক্ষণ এগিয়ে দেখা যায় এখনো ছনবাড়ি সোনাই নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের কাজ চলমান। তারা ব্রীজে বেড়া দিয়ে ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ।ছাতক সোনাই নদীর ব্রীজ নির্মাণাধীন  প্রতিষ্ঠান (ইভা বিল্ডার্সের) ম্যানেজিং ডিরেক্টর কামাল শিকদার,এর কাছে  কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন দুই পাশের এপ্রোচ,ও উপরের প্যাডস্টোন,ঢালাইয়ের কাজ বাকি এখনো ব্রিজের কাজ চলমান আছে। ফেসবুকে ব্রীজ উদ্বোধনের বিষয় প্রসঙ্গে বলেন এটা জনসাধারণের কাজ অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত হতে আরো ২/৩ মাস সময় লাগবে। এদিকে কাঠের সাঁকো হুমকি দিয়ে বন্ধ করে দেয় বলে জানান ছনবাড়ি বাজার মাদ্রাসার নামে ঘাট নিলাম গ্রহীতা বাবুল মিয়া,(৪৫) তিনি বলেন সাইফুল আলম তার চাচা ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান সান্ডুল, আফতাবুজ্জামান, তাহার ছোট ভাই মাদ্রাসা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিদিন গিয়ে নিলাম গ্রহীতা বাবুল মিয়ার কাছ থেকে ১০০০ কোনদিন ১৫০০ টাকা করে আনতেন। টাকা না দিলে হুমকি  দিতো তারা কাঠের ব্রীজ ভেঙে দিবেন। বাবুল মিয়া, আরো বলেন আমার ডাকা নিলামের সময় বাকি আছে, নিলামকৃত টাকা টা বৈধতার সহিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা কাজে ব্যবহার করা হতো।ওদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে চিরতরে তা বন্ধ হলো  তারপরও আমার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে হোক।ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ দুটি  উপজেলার মানুষ চলাচল তো করতে পারছেন। এবং কাঠের ব্রীজ টি থাকার ফলে জনগণ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাচ্ছেন। সরেজমিন অনুসন্ধানে আরো দেখা মিলে ছনবাড়ী বাজারের, দক্ষিণ দিকে-পূর্ব দিকে তাদের দোকান কোটা বেশির ভাগই  সাইফুলের চাচা আফতাবুজ্জামান, একজন চা বিক্রেতা ছিলেন তাহলে এত দোকান কোটা অর্থ বিত্তের মালিক হলেন কি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কয়েকজন বলেন এই আফতাবুজ্জামান, নাকি সুদের ব্যবসার মাধ্যমে এসবের মালিক হন ।তারা আরো অভিযোগ করেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সরকারি সংস্থা সরকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশের ও দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসবের অনুসন্ধান করলে সত্যিটা বের হয়ে আসবে। প্রতিহিংসা পরায়ণ সাইফুলের পিতার চাচাতো ভাই আব্দুল কুদ্দুস, মখলিছুর রহমান, রফিক মিয়া দের ভয়ে খুলতে পারছেন না অথচ দোকান কোটা ভাড়া দিয়েছেন নানা অজুহাতে বন্ধ রেখেছেন তাদের মানহানি করতে (১৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ শনিবার জাতীয় দৈনিক মানবজমিন “বাঁধে পানি প্রবাহ বন্ধ ছাতক কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তবর্তী নদীতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি”ও সিলেটের আঞ্চলিক দৈনিক সিলেটের ডাকে”কোম্পানীগঞ্জের ছাতক সীমান্তবর্তী সোনাই নদীতে ওপেন চাঁদাবাজি” শিরোনামে মখলিসুর রহমান তার ভাই আব্দুল কদ্দুস,রফিক মিয়া, চুনা পাথর সাপ্লাইয়ার্স ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশনের আহবায়ক ইলিয়াস আলী কে ও অভিযুক্ত করে করিয়েছেন সাইফুল চক্র। এছাড়াও সিলেটের পূণ্যভূমি,জৈন্তা বার্তা,এসব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। ২১ এপ্রিল সোমবার,চেলা-ইছামতি চুনাপাথর সাপ্লাইয়ার এসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যবসায়ীরা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। এবিষয়ে চেলা- ইছামতি সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের আহবায়ক ইলিয়াস আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিগত ৩ বছর ধরে আমরা সোনাই নদীতে ড্রাইবেশন করে ভোলাগঞ্জে ক্রাশার মিলে ব্যবসা করতেছি এবং নদীর পানি প্রবাহের ব্যবস্থা রেখেই আমরা ড্রাইবিশনের মাধ্যমে ব্যবসা করি কাউকে কোন প্রকার চাঁদা দেই না। এবং এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের সমন্নয়ে চুনাপাথর আমদানী করে ভ্যাট/ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন চাঁদাবাজির কোন প্রশ্নই ওঠে না। সংবাদ মাধ্যমের প্রতি আমাদের আস্থা-বিশ্বাস রয়েছে আমরা বিশ্বাস করি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ সরেজমিন পরিদর্শন করে সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন জাতির মঙ্গল হবে এবং যাতে কোন নিরীহ নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে। আমাদের সংগঠনের সহ সভাপতি শফিক আলী (মেম্বার) কে ও নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে এই চক্রের সাইফুল আলম,আমাদের মানহানি,বিব্রত করায় আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং বলতে চাই যারা এসব করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীগণ  আইনী প্রদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।
শেয়ার করুন

Related News

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫