শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > আইন সংশোধনী প্রস্তাবে মন্ত্রণালয়ের ‘না’ : বৈঠকে বসছে ইসি

আইন সংশোধনী প্রস্তাবে মন্ত্রণালয়ের ‘না’ : বৈঠকে বসছে ইসি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দেশের ৩০০ সংসদীয় আসন পুনর্র্নিধারণে বিদ্যমান আইনে সংশোধনীর প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয় ফিরিয়ে দেয়ায় সেটি পুনর্বিবেচনার জন্য বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও ইসি সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এটি ৫৩তম কমিশন সভা।

জানা গেছে, সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবসহ ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সীমানা নির্ধারণ আইনের সংশোধনী পুনর্বিবেচনার ছাড়াও আরও কয়েকটি এজেন্ডা রয়েছে।

সেগুলো হলো- গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণ, উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি, স্থানীয় সরকার পরিষদের অন্যান্য নির্বাচন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য গোপন বিষয়ক নির্দেশনা ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের প্রতিবেদন এবং নির্বাচন কমিশনের সঠিক কর্মযজ্ঞের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র তৈরিকরণ।

জানা যায়, দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসন পুনর্র্নিধারণে বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুধু জনসংখ্যা নয়, ভোটার অনুপাতে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করাসহ কয়েকটি সংশোধনী চেয়েছিল সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হলে তা নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয় ইংরেজি আইনের পরিবর্তে এটি বাংলায় করার পক্ষে মত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আরও জানা যায়, ‘দ্য লিমিটেশন অ্যাক্ট-১৯৭৬’ আইনটিতে ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রশাসনিক ও যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা- এ চারটি বিষয়কে মাথায় রেখে সীমানা পুনর্র্নিধারণের বিধান রয়েছে। তবে আইনের ওই অংশে সংশোধনী এনে গাণিতিক ফর্মুলা ব্যবহারের প্রস্তাব করে আগামীতে সীমানা বিন্যাস করার প্রস্তাব করে ইসি। এছাড়া আইনটি বাংলায় করার প্রস্তাব করা হয়। বিদ্যমান আইনে সীমানা বিন্যাস জটিলতা রয়েছে জানিয়ে আইনে এ সংশোধনী আনতে উদ্যোগী হয় প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় ৬২টি আসন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো আসনের জনসংখ্যার তারতম্য ২৫ শতাংশের বেশি। এ আসনগুলোর পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে। পরে আসনের সীমানায় তেমন পরিবর্তন আসেনি।