শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > আইনের আওতায় আসছেন অসৎ পুলিশ অফিসাররা

আইনের আওতায় আসছেন অসৎ পুলিশ অফিসাররা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
অসৎ পুলিশ অফিসারদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অসৎ পুলিশ অফিসারদের বিষয়ে আপনারা কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সে পুলিশ বাহিনীর লোক হোক আর সেনাবাহিনীর লোক হোক। আইন সবার জন্য সমান পুলিশও যদি অন্যায় করে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না, ছাড় দেয়া হবেও না। সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

আদালত বলেছেন, দুই লাখ পুলিশের মধ্যে মাত্র ১৩ হাজার পুলিশ অসৎ এবং তাদের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর বদনাম হচ্ছে। এ তথ্য আদৌ সত্য কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সত্য মিথ্যার প্রশ্ন আসে না। সবার জন্যই আইন সমান।

থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রেখে হাইকোর্ট বলেছেন, ওসিরা যেখানে–সেখানে কোর্ট বসান। রাতে কোর্ট বসান। তারা নিজেরা বিচার বসান কীভাবে? এত সাহস তারা কোথায় পান?

এক ব্যক্তির থানায় মামলা না নেয়া এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসি হাবিল হোসেনের কর্মকাণ্ড নিয়ে করা এক রিটের শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন প্রশ্ন রাখেন।
আদালত বলেছেন, ১৩ হাজার পুলিশ যারা থানায় বসে, তাদের জন্য গোটা পুলিশের বদনাম হতে পারে না। দুই লাখ পুলিশ ভালো। অনেক পুলিশ খুব কষ্ট করে জীবন-যাপন করে। আবার দেখা যায় অনেকের চার-পাঁচটা করে বাড়ি আছে।

মারধর, লুটপাট ও সীমানাপ্রাচীর ভাঙার অভিযোগে থানায় মামলা না নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শ্যামনগরের বাসিন্দা মো. ফজলুর করিম গত ৩ মার্চ রিটটি করেন। এর শুনানিতে ১০ মার্চ হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে বলেন। এরপর গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। গতকাল সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম জানান, মারধর, স্বর্ণালংকার লুটপাট ও সীমানাপ্রাচীর ভাঙার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে সীমানাপ্রাচীর ভাঙার ঘটনার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

অভিযোগের কিছুটা হলেও সত্যতা আছে উল্লেখ করে আদালত বলেন, তাহলে মামলা নেয়া হলো না কেন? আমরা রুল দিয়ে দেখি, কেন ওসি মামলা নিলেন না? তারা কি সালিশ করতে বসেছেন, যে সুবিধামতো হলে মামলা নেবেন, সুবিধামতো না হলে নেবেন না? অথচ টাকা ছাড়া থানায় জিডিও হয় না।