শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান

আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান চওঅঝ কধৎরস অহরংঁষ ঐধয়ঁব ব১৪১৩৯০০০০৪৫৯৪কুমিল্লা: পিয়াস করিম ও তার বাবা এম এ করিম সম্পর্কে আইনমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউনহলের কনফারেন্স আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, পিয়াস করিম এবং তার বাবা এম এ করিম সম্পর্কে আইনমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা বলেন, এমএ করিম কখনো আওয়ামীলীগ করেননি। পিয়াস করিম লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে এমন বক্তব্যও সঠিক নয়। এমএ করিম কুমিল্লায় স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে পরিচিত।
বক্তারা আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।
আইনমন্ত্রী তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে মন্ত্রী সভা থেকে তাকে বহিষ্কারের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী। বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখী, গিয়াস উদ্দিন, দীপক রায়, মমিনুল হক ও কাজী মমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত অধ্যাপক ও টিভি টকশোর আলোচক পিয়াস করিমকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি আরো বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লিফলেট বিতরণের অভিযোগে পিয়াস করিমকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছিল। আর তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা থাকলেও পাকিস্তানি বাহিনীর শর্তে মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে কুমিল্লা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।’
পিয়াস করিম প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আরো বলেছিলেন, তার বাবা (এম এ করিম) অত্যন্ত স্বনামধন্য একজন আইনজীবী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৭১ সালের মাঝামাঝিতে বাসার গেট থেকে পিয়াস করিমকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। কারণ পিয়াস করিম সম্পর্কে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে খবর ছিল, তিনি লিফলেট বিতরণ করতেন। তখন তার বয়স ছিল ১৩ বছর। এরপর পাকিস্তানি বাহিনীর শর্ত অনুযায়ী মুচলেকা দিয়ে পিয়াস করিমকে ছাড়িয়ে আনেন তার বাবা। শর্তে বলা হয়েছিল, তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে পারবেন না। শর্তানুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এম এ করিম কুমিল্লা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।’