শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অর্থের বিনিময়ে নারী পাচার- বলিউড পরিচালকের গোপন কাহিনী

অর্থের বিনিময়ে নারী পাচার- বলিউড পরিচালকের গোপন কাহিনী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে নারীদের সিনেমার শুটিংয়ের কথা বলে বিদেশে পাঠানোর অভিযোগে বলিউডের সুপরিচিত প্রযোজক-পরিচালক পার্থ ঘোষকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে আদালত ১৫০০০ রুপির বিনিময়ে তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। এভাবে বিদেশে পাঠানো আহমেদাবাদের ৩২ বছর বয়সী এক নারী ধরা পড়েন কানাডার টরোন্টো বিমানবন্দরে। অভিবাসনবিষয়ক কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই তথ্য বের করেছেন। বলা হয়েছে, এভাবে বলিউডের বিভিন্ন ব্যক্তি ও এজেন্ট বোঝাপড়ার মাধ্যমে ভুয়া ভিসা ব্যবহার করে নারীদের বিদেশে পাঠান। তাদেরকে মোটা বেতনের প্রলোভন দেয়া হয়। গতকাল এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি ট্যাবলয়েড দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। এতে বলা হয়েছে, ওই ঘটনা ধরা পরার পর মানব পাচারের অভিযোগে পার্থ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ আছে, আহমেদাবাদের ওই নারীকে তিনি বিদেশে পাঠিয়ে ১০ লাখ রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন। শাহার পুলিশ স্টেশনের এক সূত্র বলেছে, পার্থ ঘোষ যেসব নারীকে বিদেশে পাঠিয়েছেন তাদের কাছ থেকে তিনি এভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকতে পারেন। এসব নারী ভাল বেতনের প্রলোভনে তার হাতে অর্থ তুলে দিয়েছেন বিদেশে যাওয়ার জন্য। অভিযোগ আছে, গত বছরই পার্থ এভাবে কমপে ১৮ জন নারীকে কানাডার টরেন্টোতে পাঠিয়েছেন। বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, পরবর্তী ছবির শুটিংয়ের জন্য তিনি এসব মেয়েকে সেখানে পাঠাচ্ছেন। তাদেরই একজন যামিনী মিত্র (৩১)। তিনি বিমানবন্দরে অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছেন। তাদেরকে যামিনী বলেছেন, তাকে ছবির শুটিংয়ের কথা বলে বিদেশে পাঠিয়েছেন পার্থ। এ জন্য তার এজেন্টরা তাকে ভুয়া সব কাগজপত্র করে দিয়েছে। কিন্তু তাকে যখন কানাডা পাঠানো হয় তখন সেখানে ভারতীয় কোন ছবি শুটিংয়ের শিডিউল ছিল না। এ অবস্থায় কানাডার অভিবাসন বিভাগ চিঠি লেখে ভারতের অভিবাসন বিভাগকে। এ বছরের মার্চে ভারত সরকার নিশ্চিত হয় যে, যামিনীর কাগজপত্র ভুয়া। এ তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় অভিবাসন বিভাগ শাহার পুলিশ স্টেশনকে নির্দেশ দেয় পার্থ ঘোষ, দু’ এজেন্ট ও যামিনী মিত্রের বিরুদ্ধে মামলা নিবন্ধিত করতে। সেটা জুলাই মাসের ঘটনা। শাহার পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর রঘুনাথ দেলভি বলেন, গত শুক্রবার তারা এ ঘটনায় পার্থ ঘোষ ও যামিনীকে গ্রেপ্তার করেছেন। তবে দু’ এজেন্ট রাজুভাই ও ফারহান সিদ্দিকী পলাতক রয়েছে। এখন আমরা চেষ্টা করছি এভাবে কি পরিমাণ নারীকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে সেই তথ্য উদ্ধার করতে। পার্থ ঘোষকে গ্রেপ্তার করার পর আধেরি আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে গতকাল সকালে ১৫০০০ রুপির বিনিময়ে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শাহার পুলিশ স্টেশনের সূত্র বলেছে, পার্থ ঘোষ ও তার এজেন্টরা নারীদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডার মতো দেশে পাঠিয়ে দেয়া বাবদ ১০ লাখ রুপি করে নিতেন। এেেত্র তারা ওই নারীদের প্রলোভন দিতেন যে, তারা সেখানে বসবাস শুরু করলে মোটা অংকের অর্থ আয় করতে পারবেন। বলা হচ্ছে, এই পাচার চক্রের মূল হোতা হলেন পার্থ ঘোষ। তিনি যুবতীদের তার কব্জায় নিতেন। এরপর শুটিংয়ের কথা বলে বিদেশে পাঠিয়ে দিতেন। ওদিকে যে যামিনী মিত্র ধরা পড়েছেন তিনি আহমেদাবাদের বিচ্ছেদপ্রাপ্ত এক নারী। তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, এজেন্ট রাজুভাই তার কাছে যায়। তাকে কানাডা পাঠিয়ে দেয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ রুপি দাবি করে। এ সময় রাজু তাকে নিশ্চয়তা দেয় যে, একবার কানাডা গেলে তিনি বড় অংকের অর্থ আয় করতে পারবেন। এ কথা শুনে যামিনী তার জমিজমা বিক্রি করে টাকা তুলে দেন তাদের হাতে। তারপরই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কানাডা।