শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অর্থাভাবে বিলম্বিত সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল

অর্থাভাবে বিলম্বিত সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: অর্থের অভাবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন বিলম্বিত হচ্ছে। আর সে কারণে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার কাজ। ফলে সন্ত্রাস দমনে কাঙ্খিত সফলতা পাচ্ছে না সরকার।

আর এ অবস্থা দূর করতে অর্থ বিভাগে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সাতটি বিভাগে সাতটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে বরাদ্দ চেয়ে অর্থ বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আইন না হওয়া পর্যন্ত বিচার পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিটি জেলা ও দায়রা জজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শুধু এই বিচার পরিচালনা করবেন। সে ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া খুব বেশি ধীরগতি হওয়ার কথা নয়।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে দেশব্যাপী নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার কাজ চলছে ধীর গতিতে। অপরদিকে অর্থ বরাদ্দের অভাবে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালও গঠন করতে পারছে না আইন মন্ত্রণালয়। তাই এ অবস্থা নিরসনে গত ২ এপ্রিল অর্থ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের সাতটি বিভাগে ট্রাইব্যুনাল গঠনে ২ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৭৪০ টাকা বরাদ্দ অনুমোদনের অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে সন্ত্রাস দমনে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনুরোধ জানিয়ে ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়কে পত্র দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এরপর ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের সাতটি বিভাগে সাতটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে জনবল কাঠামো, যানবাহন ও অফিস সরঞ্জামের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে আইন মন্ত্রণালয়। অর্থ বিভাগকে সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠনে ২ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৭৪০ টাকা বরাদ্দের অনুরোধ জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পত্রে আরো বলা হয়, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন (সংশোধিত ২০১৩) ২০০৯’ এর ২৮ ধারা মোতাবেক এক বা একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করার বিধান রয়েছে। এই আইনের আওতায় বিভিন্ন ধারায় রজুকৃত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হলে দেশে কার্যকরভাবে সন্ত্রাস দমন সম্ভব হবে।

বর্তমানে দায়ের করা মামলাগুলো বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরিচালনা করেন। ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব হচ্ছে। এতে করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না। সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম সন্তোষজনকভাবে সফল হচ্ছে না।

তবে অর্থ বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই পত্রের পর ট্রাইব্যুনাল গঠনে অপরাগতা প্রকাশ করে। এ কারণে ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ করতে পারেনি আইন মন্ত্রণালয়।

গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ চলাকালে দেশব্যাপী সহিংসতা ও প্রেট্রোল বোমায় নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটলে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে আবারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম