শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
জাবি: স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মন্তব্যের পর দুইদিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বুধবার ও কাল বৃহস্পতিবার এ কর্মবিরতি পালিত হবে বলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, “দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে। এই কর্মবিরতির কোনো জাস্টিফিকেশন নেই। তারা জানেই না পে-স্কেলে তাদের জন্য কী আছে, কী নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘ইচ্ছেমত’ পদোন্নতি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যাকে তিনি আখ্যায়িত করেন ‘করাপট প্র্যাকটিস’ হিসেবে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার জানান, সভায় ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তেব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমার চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অবমাননাকর এই বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্তের জন্যও সরকারকে আহ্বান জানানো হবে।

বুধবার সকাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ক্লাস শুরু হয়নি তবে, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অনভিপ্রেত ও অসংলগ্ন’ বলেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

মঙ্গলবার রাতে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “মাননীয় অর্থমন্ত্রী আজ সংবাদমাধ্যমে শিক্ষকদের বিষয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। যা শুধু অনভিপ্রেতই নয়, অসংলগ্নও বটে।”

অর্থমন্ত্রীকে ‘আমলাদের প্রতিনিধি’ আখ্যায়িত করে শিক্ষক নেতারা বলেছেন, তার কাছে ‘সুবিচার’ পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করেন না।

এছাড়াও অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ (বুধবার) ও বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।