বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সঙ্গে, বেকারত্ব দূর করে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লেখাপড়া শিখে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরা উদ্যোক্তা হোন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন।
বুধবার (৪ মার্চ) ৮ম জাতীয় পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু নিজেদের বাজারে নয়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের তৈরি পণ্য বিদেশে প্রচুর চাহিদা আছে। তাদের জন্য আমাদের মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন দেশে মার্কেট খুঁজে বের করতে হবে। ক্রেতারা কী ধরনের পণ্য চায়, এসব পণ্য আমাদেরকে তৈরি করতে হবে। এজন্য গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনকে গবেষণার জন্য উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এসএমই থেকে ঋণ নিয়ে আজ বহু নারী ও যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা ঋণের সুদ কমিয়ে এক ডিজিটে নিয়ে আসছি। এক্ষেত্রে আরও যুবক ও বোনেরা এগিয়ে আসতে পারেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর সস্তা শ্রমের দেশ নয়। আগে একসময় বাংলাদেশ সস্তা শ্রমের দেশ ছিল। এখন আমাদের দেশের লোকজন অনেক দক্ষ হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন ট্রেনিংয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কারিগর তৈরি করছি। এখান থেকে দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গিয়ে ভালো বেতনের চাকরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে, এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ডিজিটাল ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে। শুধু একটা সাবজেক্টে পাস করে বসে থাকলে হবে না। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুবকদের এগিয়ে যেতে হবে। তাকে নানা উদ্যোগ নিতে হবে।
এবার এসএমই উদ্যোক্তাদের অবদান ও অংশগ্রহণকে স্বীকৃত দেয়ার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক পুরুষ ও নারী ক্যাটাগরিতে মোট পাঁচজনকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে অভিনন্দন জানান। আগামীতে যাতে আরও লোক পুরস্কার পেতে পারে সেজন্য তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে একটা বদ্বীপ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২১ থেকে ’৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আগামী ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে সে ব্যাপারেও আমরা ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছি। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমরা বাঙালি জাতি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে দাঁড়িয়ে থাকব। আর কারও মুখাপেক্ষী হব না।