শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার

অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
জীবন-জীবিকা মানুষকে টেনে নেয়, জন্মভূমি থেকে শত-সহস্র মাইল দূরে। অভিবাসী নাম দিয়ে যাদের পাঠানো টাকায় বলিষ্ঠ হয়, অর্থনীতি। তবে, তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি যেমন আজও এড়ানো যায়নি, তেমনি থামানো যায়নি প্রাণহানিও।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেসন এন্ড ডেভেলাপমেন্ট সামিটে আসা অতিথিরা বলছেন, এখন সময় এসেছে অভিবাসীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এজন্য অভিবাসনের উৎস ও গন্তব্য দেশগুলোর মধ্যে হওয়া চুক্তিগুলো, আরও অভিবাসী বান্ধব হওয়া উচিত।

সভ্যতার বিকাশ আর অভিবাসনের ইতিহাস হেঁটেছে হাত ধরাধরি করেই। পরিবার ফেলে দেশ থেকে শত-হাজার মাইল দূরে যায় মানুষ- ভালো থাকা আর নিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানিতে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেই যায় ৪ লাখেরও বেশী মানুষ। যে রেমিটেন্সের বলে মজবুত ভিত্তি পেয়েছে অর্থনীতি তা আসলে বিশ্বের ১৬০ দেশে বৈধভাবে থাকা প্রায় এক কোটি মানুষের শ্রমের ফসল।

কিন্তু আধুনিক অভিবাসনের যুগেও অভিবাসীদের কাক্সিক্ষত দেশে যাবার পথ আর প্রক্রিয়ার ঝুঁকি কিংবা অনিয়ম এড়ানো যায়নি। ঢাকায় অভিবাসন ও উন্নয়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারে আসা অতিথিরা বলছেন অভিবাসনের উৎস ও গন্তব্যদেশের দায় দায়িত্ব সবচেয়ে বেশী।

তিনদিনের সেমিনারে আসা অন্য অতিথিরাও বলছেন, অভিবাসীদের পাঠানো অর্থের সুবিধা নেয়া হবে অথচ তাদের নিরাপত্তা, বেতন কিংবা অন্য অধিকার থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা, তা হতে পারেনা।

পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক বলছেন অভিবাসী সম্পর্কে ধারণার একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বিশ্বজুড়ে। এতে বাংলাদেশের অবদান কম নয়, বলে মনে করেন তিনি।

সরকারী হিসেবে চলতি বছরে অভিবাসী হয়েছেন প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশী। সরকার আশা করছে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলে এই সংখ্যা বেড়ে যাবে আরও কয়েকগুণ।

সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর