রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অভিনয়ের কোনো দেশ নেই

অভিনয়ের কোনো দেশ নেই

শেয়ার করুন

বিনোদন ডেস্ক ॥

ঢাকা: দুই বাংলার চলচ্চিত্রেই ব্যস্ত হয়ে উঠছেন জয়া আহসান। এর মধ্যেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে মুক্তি পাবে শাকিব খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় ছবি ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-টু’। তাই সোমবার সকালে কলকাতা থেকে উড়ে এসে, সন্ধ্যার পর এফডিসির আট নাম্বার ফ্লোরে ছবিটির অডিও প্রকাশ এবং সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন জয়া। এসময় কলকাতার ছবিতেই বেশি কাজ করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওপার বাংলায় বেশি কাজ করি, এটা ঠিক নয়। আসলে যখন যে চ্যালেঞ্জটা আসে, সেটা গ্রহণ করি।’ প্রকৃতঅর্থে দুই বাংলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান এটাই বোঝাতে চাইলেন অভিনয়ের কোনো দেশ নেই!

চিত্রনায়ক ফেরদৌসের পর একমাত্র জয়া আহসানই নিজ যোগ্যতায় কলকাতার চলচ্চিত্রে আলাদা জায়গা গড়ে নিতে পেরেছেন। বিষয়টা এমন পর্যয়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, বছরের অনেকটা সময় তাকে কলকাতাতেই কাটাতে হয়। দেশের চেয়ে ওপার বাংলার ছবি বেশি করেন, এমন কথাও শুনতে হয় জয়াকে। তবে এ অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি। জয়ার ভাষায়, ‘ওপার বাংলায় বেশি কাজ করি, এটা ঠিক নয়। আসলে যখন যে চ্যালেঞ্জটা আসে, সেটা গ্রহণ করি।

এ প্রসঙ্গে জয়া আরো বলেন, ‘আমি অভিনয় করি, এটাই আমার মূল কাজ। আমাকে যে পার থেকেই বলুক, সেটা যদি আমার কালচার, ভ্যালুজ, আমার সংস্কৃতির সঙ্গে যায় সেটাই করি, সেটাই করব।’

কলকাতায় জয়ার জয়যাত্রা খুব বেশি দিনের নয়। এই তো সেদিন মুক্তি পেলো ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’, তার পরপরই ‘রাজকাহিনী’। তবে সৃজিতের সঙ্গে এ ছবিতে কাজ করতে গিয়েই নাকি জয়ার কপাল খুলেছে। ওপারে একটু অফ ট্র্যাকের ছবিতে অভিনয় করেন বলে, এপারের বাণিজ্যিক ছবির লোকজন তাকে নিয়ে নাক সিঁটকান। জয়া অবশ্য অফ ট্র্যাক মানতে নারাজ। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য হলো, ‘কলকাতায় আসলে বাণিজ্যিক ছবিই করছি। তবে কলকাতায় বাণিজ্যিক ছবির ব্যাখ্যা আলাদা। দুটো ফাইট, হিরো-হিরোইনের চারটা গান কিংবা রিয়েলিটি থেকে একটু বাইরে-এমনটা আর নেই। এটার মানে- এখানে যেটা বাণিজ্যিক ওখানে সেটা নয়। ওখানে এখন সৃজিত কিংবা কৌশিক গাঙ্গুলির ছবিগুলোই বাণিজ্যিক হিসেবে ট্রিট করা হয়।’

দুই নৌকায় পা দিলে যা হয় জয়ারও তাই হয়েছে। বছর জুড়েই শুটিং, ডাবিং আর প্রচার-প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘দেশে ‘খাঁচা’র কাজ শেষ করে এই মুহূর্তে ‘লাল মোরগের ঝুটি’ করছি। সামনে ‘বিউটি সার্কাস’ এর শুটিং শুরু হবে। আর কলকাতায় করছি ‘ঈগলের চোখ’। সামনে ‘আমি জয় চ্যাটার্জি বলছি’র শ্যুটিং হবে। তারপর করবো ‘কণ্ঠ’র কাজ। এছাড়া সেখানে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও অভিনয় করতে যাচ্ছি। যার নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি’

বৈশাখে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি টু’র গল্পে জয়াকে সুপার মডেল হিসেবে দেখা যাবে, শুরু থেকেই এমনটা শোনা যাচ্ছিলো। আসলে প্রেক্ষাগৃহে জয়াকে কোন রূপে দেখা যাবে? ‘আমার চরিত্রটি একজন মডেলের, যার নাম মিতু। যার স্ট্র্যাগলটাই ফুঁটে উঠেছে ছবিতে। ছোটভাই ও মাকে নিয়েই আমার সংসার। এরমধ্যে ছোট ভাই অসুস্থ। তবে সুন্দর একটা ফ্যামেলি লাইফ আছে। গল্পটা তো আসলে এক অর্থে প্রেমের গল্প’- বললেন জয়া।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি টু’র পাশাপাশি আরও দু একটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। দেশের চলচ্চিত্রগুলো যখন দর্শক খরায় ভুগছে তখন একাধিক ছবি মুক্তি মানেই তো শংকা? জয়ার মত অবশ্য আলাদা। তার মতে, ‘অনেকগুলো ছবি এক সাথে এলে ভালো। একটা দেখে ভালো লাগলে দর্শক আরেকটা দেখবে।’

তবে জয়ার একটা আক্ষেপও আছে। ক্রিকেট বোর্ডের আপত্তির কারণে সেন্সর পেতে ছবিটিকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তাই মুক্তিও পিছিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছবিটার আরও আগে মুক্তি পেলে দর্শক আনন্দ পেত। কারণ তখন ক্রিকেটের হাওয়া চলছিলো। তারপরও আশা করছি দর্শক ছবিটা দেখবে, তাদের ভালো লাগবে।’

দর্শক ছবিটা কেন দেখবে? জানতে চাইলে জয়া বলেন, ‘ছবির গল্পে একটা গাঁথুনি আছে। এটা নিরেট প্রেম কাহিনি। যেখানে ক্রিকেট ও মডেলিং কম্পোনেন্ট হিসেবে এসেছে। তাছাড়া আমার কো আর্টিস্ট হিসেবে যারা ছিলেন তারাও যার যার জায়গা থেকে খুব ভালো করেছেন।’