রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অবশেষে মালয়েশিয়া থেকে তিন সন্তান নিয়ে ফিরছেন নাজমা

অবশেষে মালয়েশিয়া থেকে তিন সন্তান নিয়ে ফিরছেন নাজমা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
অবশেষে মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ক্যাম্পের গ্লানি টেনে তিন সন্তান নিয়ে দেশে ফিরছেন সাভারের নাজমা। সাভারের ছামালছিক আলটিয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে নাজমা পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে নাজমা সিদ্ধান্ত নেন মালয়েশিয়া যাওয়ার। স্বামী-স্ত্রীর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বেশি টাকা উপার্জন করবে তাতে সুখে সাচ্ছন্দে থাকবে পরিবার।

পৈতৃক সূত্রে পাওয়া শেষ সম্বল মাঠের ফসলি জমি বিক্রি করে ৯ বছর আগে স্বামীর হাত ধরে মালয়েশিয়া যান নাজমা। এরই মাঝে একটি ফুটফুটে বাচ্চা জন্ম নেয়। তার নাম রাখা হয় সামিয়া আক্তার। পরপর আরও দুটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। তাদের নাম রাখা হয় ফাইজাহ এবং চোট্ট শিশুটির নাম সাদিয়া আক্তার।

তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে ভালোই কাটছিল তাদের প্রবাসের সংসার। কিন্তু বাধ সাধলো ভিসা নিয়ে। যে কোম্পানির মাধ্যমে নাজমা এবং স্বামী সেলিম হোসেনের ভিসা ছিল সে কোম্পানিতে আর ভিসা লাগাতে পারেননি। নাজমা এবং সেলিম হোসেন পড়েন বিপাকে। একদিকে তিনটি বাচ্চা আরেক দিকে অবৈধ হওয়ার উপক্রম। ভেবে কুল পাচ্ছেন না স্বামী-স্ত্রী।

দেড় মাস আগে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ কাজাং থেকে তাদের গ্রেফতার করে। অবৈধভাবে বসবাস করার দায়ে আদালত (স্বামী) সেলিম হোসেনকে সাজা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। আর নাজমা ও তার তিন সন্তানকে দেশে পাঠিয়ে দিতে আদালত নির্দেশ দেন। রাখা হয় সিমুনিয়া ক্যাম্পে। প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও আত্মীয়-স্বজন না থাকায় দেশে পাঠানো যাচ্ছে না তাদের।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমশাখার দ্বিতীয় সচিব ফরিদ আহমদ সিমুনিয়া ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে ছোট্ট শিশুদের দেখে কথা বলেন তাদের মায়ের সঙ্গে। তখন নাজমা বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন। পরে তাদের দেশে পাঠাতে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হয়।

ক্যাম্পে বাংলাদেশিদের দায়িত্বে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আজহার ৬ ফেব্রুয়ারি ইস্যুকৃত ট্রাভেল পাস দূতাবাস থেকে নিয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে শ্রমশাখার প্রথম সচিব হেদায়েত হোসেন মন্ডল এ প্রতিবেদককে বলেন, অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অনেকেই জেলের গ্লানি টানছেন। অবৈধভাবে থাকলে নাজমার মতো খেসারত দিতে হবে।

এভাবে শত শত শ্রমিক নানা সমস্যায় জর্জরিত। দূতাবাস থেকে এ রকম হাজার হাজার প্রবাসীদের সমস্যা দেখতে হয়। তাই কেউ যেন কোনো কারণে অবৈধ না হয় বলে তিনি জানান।