বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: চলমান অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে নাশকতার কারণে চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃজেলার বিভিন্ন রুটে যাত্রী এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি। রাতে পুলিশ ও বিজিবি পাহারায় কিছু গাড়ি চললেও দুর্বৃত্তদের চোরাগোপ্তা হামলার কারণে অনেক মালিক রাস্তায় গাড়ি নামাচ্ছেন না।
এ অবস্থায় গাড়ি অলস বসে থাকায় পরিবহন মালিকদের ব্যাপক লোকসানের পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছেন ১৫ হাজার পরিবহন শ্রমিক। তবে প্রশাসনের দাবি, ভীতির কারণে গাড়ি কম চললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত দল কাজ শুরু করায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
২০ দলের লাগাতার অবরোধ শুরু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন মহাসড়কে পণ্য এবং যাত্রীবাহী গাড়িতে শুরু হয় দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। অবরোধে এ পর্যন্ত ৭০টি গাড়ি ভাংচুর ও ১০টিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের দুই পরিবহন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় পুলিশ ও বিজিবি পাহারায় চট্টগ্রাম থেকে পণ্য এবং যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হলেও হামলা একেবারে বন্ধ হয়নি। এ অবস্থায় যাত্রী কমে যাওয়ার পাশাপাশি জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় অধিকাংশ গাড়ি রাস্তায় নামছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (পূর্বাঞ্চল) সভাপতি মৃনাল চৌধুরী বলেন, দনিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাড়ি চলছে, তবে তা স্বাভাবিকের তুলনায় দশ ভাগের এক ভাগ। যাকে চালাতে বলবো, সেও তো তার নিরাপত্তার কথা ভাববে। মালিকও নিরাপত্তার অভাবে তার গাড়ি নামতে দিচ্ছেন না।দ
এ অবস্থায় বেকার হয়ে পড়েছেন চট্টগ্রামের ১৫ হাজার পরিবহন শ্রমিক। তাদের কয়েকজন বলেন, দআমাদের অন্য কোনো আয়ের পথ নেই, গাড়ি বন্ধ থাকায় আমাদের পরিবার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা দিনে এনে দিনে খাই, এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছি আমরা। অন্যদিকে যাত্রী পরিবহন করতে না পারায় মালিকদেরও ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে।
চট্টগ্রাম আন্ত:জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দযাত্রী পরিবহন করতে না পারায় একদিকে শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা হুমকিতে পড়ছে; অন্যদিকে আমাদেরও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ হচ্ছে না।দ
তবে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিদর দাবি, মহাসড়কের স্পর্শকাতর পয়েন্টে পুলিশ ও বিজিবিদর পাহারার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত দল মাঠে নামায় নাশকতা কমেছে। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম