শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অফিসে যাচ্ছেন না কেন বাবুল আক্তার?

অফিসে যাচ্ছেন না কেন বাবুল আক্তার?

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম চট্টগ্রামে খুন হয়েছেন ৫ জুন। ঠিক তার আগের দিন ৪ জুন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে পুলিশ সদর দফতরে যোগদান করেন তিনি। স্ত্রী খুন হলে তারপর থেকে তিনি আর অফিস করেননি। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয়কৃষ্ণ বালা বলেন, বাবুল চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে যোগদান (রিপোর্ট) করার পরদিনই চট্টগ্রামে তার স্ত্রী খুন হন। সংগত কারণেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। মানবিক বিবেচনায় তার অনুপস্থিতির বিষয়ে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, হয়তো তিনি যেদিন অফিসে আসবেন তখন তাকে একটি আবেদন করে তার সমস্যাটা অফিসিয়ালি জানাতে হবে। এছাড়া এর মধ্যে আইজিপি সাহেব অন্য কোথাও পোস্টিং দিলে বা পুলিশ সদর দফতরেই কোনো দায়িত্ব দিলে তাকে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সদর দপ্তরের একজন ডিআইজি এ ব্যাপারে বলেন, সাধারণত কোনো পদস্থ কর্মকর্তা মিশন থেকে ফিরে বা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বদলি হয়ে পুলিশ সদর দফতরে যোগদান করেন। তার অন্যত্র পোস্টিং না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আইজিপি কর্তৃক তাকে পুলিশ সদর দফতরের সুনির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত সময়কালটাকে বলা হয় পুলিশ সদর দফতরে ‘এ্যাটাচ’।

এটা ওএসডি নয়; কিন্তু আবার কোনো দায়িত্বও নেই। এ সময়কালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রিল্যাক্স মুডে থাকেন। তখন ওই কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস না করলেও এটাকে অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হয় না। ফলে এ ধরনের েেত্র সুনির্দিষ্ট পোস্টিং না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পুলিশ সদর দফতরে যাতায়াত করেন। কিন্তু প্রতিদিন না আসলেও চলে।

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুন হওয়ার পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় শ্বশুর বাড়িতেই থাকছিলেন এসপি বাবুল। তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন অবসরে গিয়েছিলেন পুলিশের ওসি হিসেবে।

গত ৫ জুন রবিবার ভোরে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার পর জিইসির মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলি ও ছুরিকাঘাতে মারা যান মাহমুদা খানম মিতু। আটটি ছুরিকাঘাত এবং গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর খুনিদের তিনজন একটি মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।

ঘটনার পর পুলিশ আবু নছর গুন্নু ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। হাজতি বন্দি জেএমবি সদস্য বুলবুল আহমেদ ফুয়াদকে অন্য একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আরো কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সর্বশেষ দুজন আসামির জবানবন্দিতে তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটেছে বলে দাবি করেন সিএমপির কর্মকর্তারা।