শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অফিসে প্রেমের ঘনিষ্ঠ পরিণতি ভালো

অফিসে প্রেমের ঘনিষ্ঠ পরিণতি ভালো

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ একই অফিসে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় কর্মীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব তৈরি হয়। কখনও সম্পর্কটি পায় ইতিবাচক পরিণতি। তবে কর্মক্ষেত্রে প্রেম-ভালোবাসার বিষয় অনেক প্রতিষ্ঠানই মেনে নেয় না, কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে। এ ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর ব্যাপারে সহকর্মীরাও নিরুত্সাহিত করেন।

তবে কর্মক্ষেত্রের সম্পর্কই বেশি ইতিবাচক পরিণতি পায় বলে গবেষকরা দাবি করেছেন। খবর: ডেইল মেইল’র।

দুই হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর এ-সম্পর্কিত একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, বন্ধুবান্ধব, নৈশক্লাব কিংবা অন্য কোনো সূত্রের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে তৈরি হওয়া প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়েতে গড়িয়েছে।

এই হার ১৪ শতাংশ। বন্ধুদের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের হার ১১ শতাংশ। পরিণতির প্রবণতায় পিছিয়ে থাকলেও বন্ধুদের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। অন্যদিকে নৈশক্লাব বা পানশালায় যাতায়াত সূত্রে যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব সর্বোচ্চ এক রাত।

গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে সৃষ্ট প্রেমে পরিণতির সম্ভাবনা বেশি। তারা বলছেন, একই অফিসে একসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে জুটিদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এর ফলেই সম্পর্কটি পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।

টেলিভিশন কমেডি ‘হাউ আই মিট ইয়োর মাদার’ শিরোনামের ডিভিডির জন্য গবেষণাটি চালানো হয়।

গবেষণায় বিভিন্ন ধরনের প্রেমের পরিণতি দেখানো হয়েছে। এই যেমন: যারা চোখ বন্ধ করে প্রেমিকাকে নিয়ে নির্জন কোথাও দেখা করে, তারা ভালোবাসার দীর্ঘ সুখ অনুভব করে।

বন্ধু ও সহকর্মীদের নিরুৎসাহের পরও যারা কর্মক্ষেত্রে রোমান্স করে, তাদের পরিণতি বিয়েতে গড়ায় এবং এই সম্পর্কটা বন্ধুদের আলোচনায় চলে আসে সবচেয়ে বেশি।

অন্যদিকে, যাদের সম্পর্ক কোনো নাইট ক্লাব বা পানশালায় হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা পালিয়ে যায় অথবা এক রাতেই তাদের রোমান্সের মোহ কেটে যায়।

গবেষকরা দেখিয়েছেন, ৫১ শতাংশ লোকজন প্রেমিকাকে নিয়ে যেখানে বেড়াতে যাবে সেই জায়গা ও পরিস্থিতি সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করবে তা নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন।

তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কখনই চিন্তা করবেন না- কোথায় দেখা করবেন বা কিভাবে ওই পরিবেশ আপনাদের সম্পর্কে দীর্ঘ স্থায়িত্ব দিবে। বরং আপনি যার সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছেন, তার সঙ্গে কাজের মাধ্যমেই দেখা করুন। এখানে সম্পর্ক শুরু হয় এবং তার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিণতি হয় বিয়ে।’