বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলো অপরাধের অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে। নানা জটিলতার মুখে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা। গত ৮ মাসে আশ্রয় শিবিরে ১৫টি খুনসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে দেড় শতাধিক। আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩’শ রোহিঙ্গা। এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে নিরাপত্তার জন্য তারা হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫শে আগস্টের পর থেকে টেকনাফ এবং উখিয়া থানায় রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় ৩৩৬ জনকে আসামী করে ১৬৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম অস্ত্র আইনের ১২টি মামলায় ৩০ জন, মাদক আইনের ৫৮টি মামলায় ৮৯ জন, পাসপোর্ট আইনের ৪১টি মামলায় ৭১ জন, ধর্ষণ আইনের ২টি মামলায় ২ জন, অপহরণ আইনের ৩টি মামলায় ৯ জন, চোরাচালান আইনের ৫টি মামলায় ১২ জন, চুরি আইনের ১টি মামলায় ১ জন এবং ডাকাতির আইনের ৫টি মামলায় ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি ড. এস এম মিনরুজ্জামান বলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করবে। এধরনের অপতৎপরতাকে জোরালেভাবে অত্যন্ত কঠোরায়ণভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তবে সবচেয়ে বেশি আশংকাজনক হলো, আশ্রয় শিবিরগুলোতে হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। ১৫টি হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৭০ জন ও অন্যান্য ২১টি মামলায় ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এধরণের আগ্রাসী আচরণে স্থানীয়দের মধ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সাবেক কূটনীতিক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, পাশাপাশি পিঠে লাগালাগি করে পরিবার বাস করে এজন্য বিশৃঙ্খলা বেশি সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় অপরাধ প্রবণ রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে আরো বেশি তৎপর হতে নির্দেশনা দিয়েছে বিভাগীয় প্রশাসন।
চট্টগ্রাম বিভাগ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী বলেন, আইনশৃঙ্খলা মেনেই যেন তারা বসবাস করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বর্তমানে টেকনাফ ও উখিয়ার ২০টি ব্লকে ভাগ করা আশ্রয় শিবিরগুলোতে নতুন পুরাতন ১১ লাখ ৩ হাজার রোহিঙ্গার অবস্থান রয়েছে। আর রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় টেকনাফ এবং উখিয়া থানার পাশাপাশি রয়েছে ৫টি নতুন পুলিশ ক্যাম্প। সে সাথে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে রয়েছে মোট ৩২টি চেকপোস্ট। সূত্র: সময় টিভি