বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সোনাখালিতে৷ তরুণীটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে৷ অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে ওই ব্যক্তির নাগাল পেলেও সালিশি সভার কথায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত সালিশি সভার নির্দেশমতো টাকা না দিতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ প্রশ্ন উঠছে, সালিশি সভার নির্দেশে কাজ করেছে পুলিশ? পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব তরুণীর পরিবার৷
ঘটনার সূত্রপাত বছরখানেক আগে৷ অভিযোগ, বছরখানেক আগে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বিপুল সর্দার নামে এক ব্যক্তি৷ তারপর ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন৷ তরুণীকে বারবার জিজ্ঞাসা করার পর তাঁর বাড়ির লোক জানতে পারেন, বিপুল সর্দারের কথা৷ বিপুলের বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও, পুলিশ তা নেয়নি বলে দাবি তরুণীর পরিবারের৷ এরপর গ্রামে সালিশি সভা বসে ঠিক হয়, অভিযুক্তকে একলক্ষ টাকা দিতে হবে৷ অভিযোগ, টাকা না দিয়েই গ্রাম থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত৷ গ্রামবাসীরা তাঁকে দেখতে পেয়ে মারধর শুরু করে৷ সেই সময় পুলিশ অভিযুক্তকে হাতে পেলেও, গ্রেফতার না করেই তাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ৷ ফের সালিশি সভা বসে ঠিক হয়, অভিযুক্তকে দিতে হবে ৬৫ হাজার টাকা৷ কিন্তু, সেই টাকা না দিয়েও পালিয়ে যায় অভিযুক্ত৷ অবশেষে শনিবার রাতে অভিযুক্তকে ফের গ্রামে দেখতে পান বাসিন্দারা৷ তখন তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং তখন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে৷ কিন্তু, নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে পুলিশ প্রথমেই কেন গ্রেফতার করল না? কেন সালিশি সভার জন্য অপেক্ষা করল তারা? যদি অভিযুক্ত সালিশি সভার কথামতো টাকা দিয়ে দিত তাহলে কি পুলিশ চুপচাপ তা মেনে নিত? কোন আইনে সালিশি সভা বৈধ? এসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিতে রাজি হয়নি পুলিশ৷