আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
আফ্রিকার দেশ নাইজারে জঙ্গি হামলায় নিহত মার্কিন সার্জেন্ট লা ডেভিড জনসনের স্ত্রীকে আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বুধবার নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে টুইটারে তিনি বলেন, ‘আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।’
৪ অক্টোবর বিদ্রোহীদের হামলায় আরও তিনজনের সঙ্গে নিহত হয়েছিলেন ডেভিড জনসন। মঙ্গলবার বিকেলে মায়ামি বিমানবন্দর থেকে ডেভিডের মৃতদেহ গ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন তার স্ত্রী। মরদেহ পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগে জনসনের স্ত্রীকে ফোন করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প । এ ঘটনায় ফোনে সান্ত্বনা দেয়ার পরিবর্তে সদ্যবিধবা মেশিয়াকে ট্রাম্প বলেন, ‘উনি (ডেভিড জনসন) জানতেন উনি কোন শর্তে চাকরি করতে এসেছিলেন। তবু ঘটনাটা দুঃখের।’ সঙ্গে সঙ্গেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মেশিয়া।
এর পর মায়ামির বিরোধী ডেমোক্রেট নেত্রী ফ্রেডেরিকা উইলসন মার্কিন আইনসভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, সকলেই জানে যে যুদ্ধে গেলে ফিরে আসার নিশ্চয়তা থাকে না। কিন্তু তাই বলে সদ্য জীবনসঙ্গী হারানো ও একজন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কোনোভাবেই এ কথা বলা উচিত নয়।
ওয়াশিংটন পোস্টকে নিহত সৈন্যের মা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমার পুত্র ও পুত্রবধূকে অসম্মান করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি আমার স্বামীসহ আমাকে অসম্মান করেছেন।’
তবে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে ট্রাম্প তার টুইটারে বলেন, ‘ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান আমার কথার পুরোপুরি ভুল ব্যাখ্যা তৈরি করেছেন। আমি বলেছি, সে তার কাজ করতে গিয়ে নিহত হয়েছে, এটি খুবই দুঃখের।’ ট্রাম্প সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘তিনি যা বলছেন আমি তা কখনোই বলিনি। আমাদের একটি সুন্দর কথোপকথন হয়েছে। প্রয়োজনে আপনারা মেশিয়াকে জিজ্ঞাসা করে নিন।’
বিরোধী ওই নেত্রী বলেন, ‘তাঁর কাছেও পাল্টা প্রমাণ রয়েছে। তাঁর দাবি, আমি আর মেশিয়া একই গাড়িতে ছিলাম। ফোনের ভলিউম বেশি থাকায় ট্রাম্পের ওই কথাটি আমি স্পষ্ট শুনেছি।’ সূত্র: ফ্রান্স২৪