বাংলাভূমি ডেস্ক:
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন গাজীপুরে নুহাশ পল্লীতে স্বামীর ১১তম মৃত্যু দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, হুমায়ুন আহমদ চলে গেছেন ১১ বছর। খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য হুমায়ুন আহমদের বহু নাটক, সিনেমা বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউব চ্যানেলে কোন রকম চুক্তিপত্র ছাড়াই তার সৃষ্টিকর্ম প্রদর্শন করা হচ্ছে। হুমায়ুন আহমদ বেঁচে থাকতেও তারা এসবের জন্য অনুমতি নেয়নি, মৃত্যুর পরও তার উত্তরাধিকার কারোর সাথে চুক্তি বা মৌখিক অনুমতিও নেয়নি। দেশের এসব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কতৃপক্ষের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি। তাদের একজনকে উকিল নোটিশও পাঠিয়েছি, কিন্তু তিনি এটি গ্রহণ করেননি এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অনুমতি ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের নাটক সিনেমা প্রদর্শন বন্ধের দাবি জানান হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
শাওন বলেন, হুয়ায়ুন আহমেদ কত বড়মাপের একজন লেখক, পরিচালক ও গীতিকার ছিলেন, কত বড়মাপের সৃষ্টিশীল সত্তা ছিলেন তার শূণ্যতা তার অনুপস্থিতে এখন অনুধাবন করা যায়।
হুমায়ুন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে হুমায়ুন আহমেদর কবর জিয়ারত, কবরে পষ্পস্তবক অর্পন, কোর—আনখানি, মিলাদ এবং এতিমখানা মাদ্রাসার ২৫০ শিক্ষার্থীর মাঝে রান্নাকরা হুমায়ুন আহমেদর পছন্দের খাবার পরিবেশন করাসহ নানা কর্মসূচীর পালন করা হয়েছে। সেখানে তাঁর পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করলেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদকে নিয়ে প্রয়াত লেখকের কবর জিয়ারত করা হয়। এসময় গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. রীনা পারভিনসহ হুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। লেখকের আত্মার শান্তি কামনা করে দুহাত তুলে তারা মোনাজাত করেন।
কবর জিয়ারত শেষ মেহের আফরোজ শাওন গণমাধ্যমকে হুমায়ূনের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। দুই ছোট সন্তান অকালে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এই ব্যাপারটি তাকে ভীষণ কষ্টতাড়িত করে।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।