বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অনিশ্চয়তায় ৪ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন

অনিশ্চয়তায় ৪ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: চলতি অর্থবছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফি এর ওপর ভ্যাট আরোপের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এতে অভিভাবকদের পাশাপাশি হতাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষকরাও। খবর : সময় টিভি।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর করের বোঝা চাপানো অনৈতিক। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

অন্যদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের।

এসএসসি ও এইচএসসি তে জিপিএ-৫ পেয়েও স্বাধীনের জায়গা হয়নি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। মারা যাবার আগে শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকেট ছেলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তার বাবা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফি এর ওপর নির্ধারিত সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ ভ্যাট, স্বাধীনের শিক্ষাজীবনকে দাঁড় করিয়েছে অনিশ্চয়তার সামনে।

এ নিয়ে বিবিএ পড়–য়া শিক্ষার্থী সাহেদ শরীফ বলেন, ‘শিক্ষা কোন পণ্য নয়, এটা আমাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। মৌলিক অধিকারে শিক্ষার উপর ভ্যাট আরোপ করায়। সরকার আমাদের এবং আমাদের বাবা-মার জন্য সেটা কষ্টকর হয়ে দাড়াবে। শিক্ষার উপর ভ্যাট একটা অনৈতিক দাবি এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।’

তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যাল পড়–য়া শিক্ষার্থী স্বাধীন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার টিউশন ফি দেওয়ার জন্য যেখানে একটা চাকুরির জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াই। সেখানে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপর আরও ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে । তা যদি হয় তাহলে আমার জীবনে আমি অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখি না।’

ভ্যাট আরোপে স্বাধীনের মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর মনে যোগ হয়েছে ক্ষোভ আর দুশ্চিন্তা নামক নানা অস্থিরতা। এতে হতাশ শিক্ষার্থী অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ শফিউল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় সরকার নানাভাবে ভর্তুকি দেয়। উল্টো যদি এখন সরকার নিজেই জনগণের উপর ভ্যাট চাপিয়ে শিক্ষার কোমরে রশি বেধে দেয় তাহলে এই শিক্ষা আমাদের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না।’

সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে অনৈতিক বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। তবে ভ্যাট আরোপের সব দায় অর্থমন্ত্রণালয়ের ওপর চাপালেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভ্যাট বসানোর ফলে যেটা হলো যে সরকার টিউশন ফি নিয়ন্ত্রণ করবে না। অর্থাৎ সরকার অত্যন্ত সুযোগ সন্ধানী একটি অনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘ভ্যাট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বসানো হয়নি। ভ্যাট অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বসানো হয়েছে।’

সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে অর্থমন্ত্রী তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ভ্যাট কার্যকরের পর জুলাই এর ৫ তারিখ থেকে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।