শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ঢাকা অচল!

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ঢাকা অচল!

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে সরকারকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্তই সময় দেবে বিএনপি। আল্টিমেটাম-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার সংলাপ-সমঝোতার উদ্যোগ নিলে ইতিবাচক সায়ও দেবে দলটি। তবে সমঝোতার বিষয়টি অধরা থেকে গেলে ২৫ অক্টোবর থেকেই সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। এজন্য প্রাক-প্রস্তুতিও সেরে রাখা হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জোটবন্ধু জামায়াত ও ভোটবন্ধু হেফাজতসহ জোটভুক্ত ও জোটের বাইরে থাকা সমমনা দলগুলোকে চূড়ান্ত আন্দোলন প্রস্তুতি সেরে রাখতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় কর্ম-নির্দেশনা দিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রাথমিক পরিকল্পনায় পরিবর্তন না হলে আগামী ২৬ কিংবা ২৭ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ১৮ দলীয় জোট। ওইদিন থেকেই শুরু হবে অসহযোগ আন্দোলন। অচল করে দেওয়া হতে পারে ঢাকাকে। সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের মাধ্যমে রাজধানীকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে ১৮ দলীয় জোটের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ছাড়া ঘরে না ফেরার ঘোষণা দিয়ে জোটটির নেতাকর্মীরা দিন-রাত রাজপথে থাকতে পারে। ঠিক একই সময়ে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে অস্থায়ী ‘আন্দোলন মঞ্চ’ তৈরি করে উত্তাপ ছড়িয়ে দেওয়া হবে শহর থেকে গ্রামেও। এজন্য বিএনপির ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের ৪২টি পৃথক টিমে বিভক্ত করে দেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বিএনপির অন্যতম অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাহসী নেতাকর্মীদের দেওয়া হবে বিশেষ দায়িত্ব। তাদের প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ছাত্রশিবিরও। আন্দোলনের মাঠে ক্ষেত্র বিশেষে মরিয়া ভূমিকায় থাকবে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের সময়কে বলেন, কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি আছে আমাদের। ২৪ অক্টোবরের মধ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনর্বহাল না হলে ২৫ অক্টোবরের পর হরতাল, সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নেমে আসবে। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার যোগ্যতা থাকবে না সরকারের। দাবি মানতে তারা বাধ্য হবেই।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, বারবার সমঝোতার আহ্বান জানানোর পরও সরকার ইতিবাচক সায় না দেওয়ায় খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ রয়েছেন। ‘ফয়সালা আন্দোলনেই’— খালেদা জিয়া তার এ মনোভাব গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই জানিয়ে দেন জ্যেষ্ঠ নেতাদের। ১৩ সেপ্টেম্বর গুলশান কার্যালয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের জরুরি তলব করেন তিনি। ওইদিন ৩ সংগঠনের নেতাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মকৌশল বাতলে দেন খালেদা জিয়া। ২৫ অক্টোবর সারাদেশের রাজপথ দখলে নেওয়ার প্রস্তুতি সেরে রাখতে তিন সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত না করে আমাদের সময়কে বলেন, সরকার একদলীয় নির্বাচনের পথে হাঁটলে সে নির্বাচন প্রতিহতের দায়িত্ব পালন করবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। জনগণও সঙ্গে থাকবে আমাদের। বিএনপি ও দলের জোটমিত্ররা তো থাকবেনই।