খাগড়াছড়ি থেকে
মোঃ সালাউদ্দিন:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মাটিরাংগা ও মানিকছড়ি উপজেলার ৮টি (রবি) মোবাইল টাওয়ারে গত (২২ জানুয়ারি) রাতে একযোগে যন্ত্রাংশ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ফলে ওইসব টাওয়ার এখনও বন্ধ রয়েছে।
এরই মধ্যে (১৯ এপ্রিল) শনিবার মানিকছড়ি উপজেলার ময়ুরখীল এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রবি টাওয়ার মেরামত করতে আসা দুইজন টেকনিশিয়ানকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় মোটর সাইকেলে আসা কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী।
এ ঘটনায় আবারও পাহাড়ে অনিশ্চিত নষ্ট হওয়া রবি টাওয়ার মেরামত কিংবা রবি সেবা।
রবি টাওয়ার সংশ্লিষ্ট ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গেল ২২ জানুয়ারি ভোরে একযোগে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙা উপজেলার ৮টি রবি টাওয়ার ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত করে সন্ত্রাসীরা।
এর পর হতে ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারের আওতায় থাকা কয়েক হাজার মোবাইল গ্রাহক গত ৩ মাস যাবৎ সেবা বঞ্চিত! কিন্তু কী কারণে রবি টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা?এবং বন্ধ থাকার সদুত্তর মিলেছে না কোথাও। রবি মোবাইল সিম বিক্রেতা সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে বলেন, পাহাড়ের সকল ব্যবসায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মোটা অংকে বাৎসরিক চাঁদা দিতে হয়।
এ ক্ষেত্রে রবি কোম্পানির সাথে কোনো সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অমিল হওয়া বা গরমিল হওয়ার রেশ।
এদিকে (১৯ এপ্রিল) শনিবার বিকেলে মানিকছড়ি উপজেলার ধর্মঘরস্থ ( চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক সংলগ্ন) ময়ুরখীল বিলে থাকা রবি টাওয়ার মেরামতে আসেন দুইজন টেকনিশিয়ান।
মুহূর্তের মধ্যে সেখানে হাজির কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী! টেকনিশিয়ানদের টাওয়ার থেকে নামিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে! সড়কে চলাচলরত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করে জোরপূর্বক টেকনিশিয়ানদের নিয়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, গত ২২ জানুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রবি টাওয়ার মেরামতে এসে দুইজন টেকনিশিয়ান নিখোঁজ হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি।
লোকমুখে এসব শুনলেও বিগত সময় হতে এখন পর্যন্ত টাওয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুলিশ বা প্রশাসনকে কোনো বিষয়ে অবহিত করে নাই।
লোকমুখে শোনা কথায় সত্যতা নিশ্চিত করাও কঠিন। তারপরও আমরা খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।